এবার থেকে পার্শ্ব শিক্ষিকাদেরও বদলি করা হবে। সার্বিকভাবে পার্শ্ব শিক্ষিকাদের বদলি নীতি কার্যকর করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে গতকাল পার্শ্ব শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মাসখানেক আগেই বেআইনি বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচজন পার্শ্ব শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পার্শ্ব শিক্ষকদের বদলির কোনও নিয়ম নেই।
অসংখ্য পার্শ্ব শিক্ষিকা বদলির দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের নেতা মইদুল ইসলাম জানান, 'যে সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষিকারা বিবাহসূত্রে অনেক দূরে চলে যান, তাঁদের পক্ষে স্কুলে যাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই কারণে ওই সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষিকারা বদলির দাবি জানিয়েছিলেন। যাঁরা বদলি হতে ইচ্ছুক শুধুমাত্র তাঁদেরকেই বদলি করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।' সে বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
শিক্ষিকাদের এই সমস্ত দাবি ছাড়াও এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এসএসকে, এমএসকে শিক্ষিকাদের শিক্ষা দফতরের আওতায় আনা, মাদ্রাসা পুরসভা এবং অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারদের তিন শতাংশ বকেয়া মেটানো এবং অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, বাম জমানায় চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। মাসখানেক আগেই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর । তারপর তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও গড়িয়েছিল। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু জানান, 'ঐ সমস্ত শিক্ষিকারা মামলা প্রত্যাহার করে নিলে সরকার তাদের কথা ভাববে।' পাশাপাশি, পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কথা বলবেন বলে মইদুল ইসলাম জানান।