এক সময় সিভিল সার্ভিসে বাংলার দাপট ছিল। কিন্তু , গত কয়েক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে যে সিভিল সার্ভিসে ততটা আগ্রহী হচ্ছেন না বঙ্গ সন্তানরা। যে কারণে রাজ্যের কোটায় যে পদ রয়েছে তাতে হাতেগোনা কয়েকজন বাঙালিকে পাওয়া যায়। তাই সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকেই পড়ুয়াদের আগ্রহী করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করেছে শিক্ষা দফতর। রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মনে করেন, 'শুধু কলকাতা নয়, জেলাস্তর থেকেই এ বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত। '
সিভিল সার্ভিস নিয়ে সল্টলেকের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারে তার জন্য দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের দুটি প্রশিক্ষণ সংস্থাকে দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর হয়ে গেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার প্রতি পড়ুয়া পিছু এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কোনও পড়ুয়ার আর্থিক সমস্যা থাকলে সে বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখবে রাজ্য সরকার। শনিবার রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের এটি অনুষ্ঠানে একথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব।
তিনি জানান, ' ইতিমধ্যেই এই ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ২০০ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আগামী বছরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুত করা হবে।' উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ।
সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন উপস্থিত ছিলেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন , এর ফলে সিভিল সার্ভিসে আবার পুরোনো মর্যাদা ফিরে পাবে বাংলা। রাজ্যে বেশি সংখ্যায় সিভিল সার্ভিস অফিসার প্রস্তুত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে।