জীবনের সমস্ত সঞ্চয় লাগিয়ে জমি কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে এবার থেকে আর জটিলতার মুখে পড়বেন না। কারণ , জমি কেনার পর প্রথমেই যে জটের মুখে পড়তে হয়, সেই মিউটেশন পদ্ধতি সরলীকরণের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভ্যান্স সেলে সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই এই নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে নবান্ন।
জমি-বাড়ি মিউটেশন করাতে গিয়ে আর যাতে জমির মালিকদের হয়রানির শিকার না হতে হয়, তার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।
যদিও অনলাইনের মাধ্যমে মিউটেশনের প্রক্রিয়া অনেকটা সরলীকরণ হয়েছে। সেখানে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত লাগু করা হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণ করলে, আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। নিজে থেকেই জমির মিউটেশন হয়ে যাবে। তবে এবার জমির মিউটেশনের ক্ষেত্রে আরও সরলীকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ব্যক্তিকে যদি মিউটেশনের জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে বারবার ঘুরতে হয়, তাহলে তা বরদাস্ত করবে না নবান্ন। তিনি জানিয়ে দেন, কারোর জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যদি একাধিক সমস্যা থাকে তাহলে, তা মিটিয়ে নিয়ে একদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে ভূমি দফতরকে। সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে বারবার ভূমি দফতরে ডাকা যাবে না। শুধু তাই নয়, অনেকে স্ত্রী সন্তানের নামেও জমি কেনেন। সে ক্ষেত্রে শুনানির জন্য একবারই পরিবারের একজনকে ডাকতে হবে।
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ব্যক্তিকে যদি মিউটেশনের জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে বারবার ঘুরতে হয়, তাহলে তা বরদাস্ত করবে না নবান্ন। তিনি জানিয়ে দেন, কারোর জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যদি একাধিক সমস্যা থাকে তাহলে, তা মিটিয়ে নিয়ে একদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে ভূমি দফতরকে। সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে বারবার ভূমি দফতরে ডাকা যাবে না। শুধু তাই নয়, অনেকে স্ত্রী সন্তানের নামেও জমি কেনেন। সে ক্ষেত্রে শুনানির জন্য একবারই পরিবারের একজনকে ডাকতে হবে।
এছাড়াও জমির মালিকদের সরাসরি তাঁদের ফোন নম্বর দিতে বলা হয়েছে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, জমির মালিকরা নিজেদের ফোন নম্বর না দিয়ে, আইনজীবী বা মুহুরীর ফোন নাম্বার জমা দিচ্ছেন। ফলে, জমির প্রকৃত মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। জমির মালিকরা নিজেদের ফোন নম্বর দফতরে জমা করলে, ভূমি সংস্কার দফতর জমির মালিককে সরাসরি ডেকে দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীদের মৌরসীপাট্টা চূর্ণ হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। আবার কেউ অসৎ উপায়ে ঘুষও নিতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, মাথার ছাদ তৈরি করতে জীবনের সমস্ত জমা পুঁজি লাগিয়ে দেন মানুষেরা। অথচ টাকা পয়সা খরচ করে জমি কেনার পর হয়রানির শেষ থাকে না। জমির মিউটেশন করাতে গিয়ে দফতরে দফতরে ছুটে জুতোর শুকতলা খইয়ে ফেলতে হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আরও অভিযোগ, জমির মিউটেশন করাতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় জমির মালিকদের। এবার এই চিত্র বদলাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।