দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা দেশে ৫০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে গতকালই। রাজ্যেও ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে সোমবার একটি বৈঠকে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সোমবারের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশাল ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী।
শহরে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিত্সা হবে আমরি, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্নক, ফর্টিস, আরএন টেগোর, রুবি, আইএলএস হাসপাতালে। এই আবহে বৈঠকে সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওমিক্রন অতি সংক্রামক ভ্যারিযেন্ট হওয়ায় অন্যান্য কোভিড রোগীর থেকে আলাদা রাখা হবে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের। এই আবহে কোভিডের জন্য হাসপাতালগুলিকে তিনটি পৃথক ওয়ার্ড তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। একটি ওয়ার্ডে সাধারণ কোভিড রোগীরা থাকবেন। দ্বিতীয় ওয়ার্ডে থাকবেন ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীরা। তৃতীয় ওয়ার্ডে ওমিক্রন পজিটিভ রোগীদের চিকিত্সা চলবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেলেঘাটা আইডিকে নোডাল হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না বুঝতে কলকাতা পুর এলাকায় জিনোম মিকোয়েন্সিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যেসব করোনা রোগীর সিটি ভ্যালু ৩০-এর নিচে, তাদের জিনোম সিকোয়েন্সিং হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকজিন আগেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তারের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছিল। তবে সাম্প্রতিককালে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে কলকাতার সকল পরীক্ষাগারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা পরীক্ষার সময় রোগীর বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্র করতে হবে। পাশাপাশি রোগীর টিটাকরণ সম্পন্ন হয়েছে কিনা, তাও জানতে হবে।