১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বহুবার সড়ক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের তরফে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও ১০০ দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। এ নিয়ে কেন্দ্রের উপর ভরসা না করে রাজ্যের প্রকল্পগুলির সাহায্যে জব কার্ড হোল্ডারদের জন্য অর্থ উপার্জনের রাস্তা খুলে দিল সরকার। এবার স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে পারবেন জব কার্ড হোল্ডাররা।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের আয়ের ব্যবস্থা করতে কাজের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাতেই তালিকা তৈরির জন্য পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে প্রতিটি জেলায় অনেক প্রকল্প রয়েছে। এর ফলে জব কার্ড কাজ পেলে আয়ের ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। যদিও ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের টানাপোড়েন বহুদিনের। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘রাজনীতি না করে ১০০ দিনের টাকা দিন।’
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেন্দ্রে কাছে ৬,৫৬১ কোটি টাকা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বকেয়া রয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আবার দাবি করেছিলেন ৭,৩০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন ৫,৪৩৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ স্পষ্ট জানান, ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া রয়েছে ৩,২০২ কোটি টাকা। এরপরেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের পাওনা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু।