করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। আজ তিনিই করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। তিনি রাজ্য স্বাস্থ্য–পরিবহণ দফতরের আধিকারিক গৌতম চৌধুরী (৫৬)। প্রকৃত কোভিড যোদ্ধা ছিলেন তিনি। কারণ গোটা রাজ্যের করোনা টিকা আনা, রাজ্যজুড়ে টিকা বন্টন এবং তা যাতে সর্বস্তরে পৌঁছয় তার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সরাসরি এই মহামারীতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গৌতমবাবু। নিজেও টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হল না।
এখানেই শেষ নয়, ১০২টি অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বে ছিলেন এই শিশু স্বাস্থ্য আধিকারিক। কয়েকদিন ধরেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেয়। অত্যন্ত কাজের লোক ছিলেন গৌতম চৌধুরী। করোনা সংক্রমণের প্রথম দ্বিতীয় দুই ঢেউয়েই তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সামনে থেকে। কেন্দ্রের পাঠানো টিকা বিমানবন্দর থেকে আনা, বাগবাজারের সেন্ট্রাল হেলথ স্টোরে তা নিয়ে যাওয়া, সেখান থেকে গোটা রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন তিনি।
সিরাম ইন্সটিটিউট এবং ভারত বায়োটেরকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। নিখুঁতভাবে, ঠাণ্ডা মাথায় কাজটা করতেন গৌতমবাবু। এই করোনা যোদ্ধার গতিরুদ্ধ করল করোনাই। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩০ জনের বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্বনামধন্য, কেউ আবার সদ্য কাজ শুরু করেছিলেন। এদের মধ্যেই অগ্রগণ্য ছিলেন গৌতমবাবু। তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি হল গোটা রাজ্যের বলে মনে করা হচ্ছে।