গরু পাচার মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্যপুলিশ। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতিদের বেঞ্চ। সিবিআই তদন্তে কোনও ব্যাঘাত নয়। জানিয়ে দিল আদালত। কীভাবে সমান্তরালভাবে রাজ্য়ের পুলিশ বা সিআইডি একইভাবে তদন্ত করে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। আদৌ এই সমান্তরাল তদন্তের বৈধতা আছে কি না তা নিয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে।
কার্যত ২০১৮ সাল থেকে সিবিআই গরু পাচার সংক্রান্ত খোঁজখবর করছে। এদিকে রাজ্যপুলিশের তরফে এতদিন কোনও খোঁজখবর করা হয়নি। আর এতদিন বাদে ২০২২ সালে এসে রাজ্য পুলিশ আচমকা এনিয়ে নিম্ন আদালতে যায়। রঘুনাথগঞ্জ থানায় এনিয়ে এফআইআরও করা হয়েছিল। তবে রাজ্য পুলিশের এই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।
কয়লা পাচারের পরে গরু পাচার মামলাতেও রাজ্য পুলিশের তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
এদিকে গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্য়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার দেহরক্ষী, বিএসএফ আধিকারিক সহ গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। তবে এবার আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপুলিশ এনিয়ে তদন্ত করতে পারবে না।
এনিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, আসলে রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি ভাবছিল গরু পাচারের যাবতীয় নথিকে এই সুযোগে ধাপাচাপা দিয়ে দেবে। এর আগেও তারা এটা করেছে। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।