রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সম্প্রতি বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেনামি সম্পত্তির হদিশও মিলেছে প্রচুর। তেমনই নির্দিষ্ট একটি খবর পেয়ে চিংড়িঘাটার সুকান্ত নগরে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তল্লাশি করতে শুরু করে। এখানের এক বহুতলের পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি অভিযান। ওই ফ্ল্যাটে এক ব্যবসায়ী থাকেন। এখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) বলে সূত্রের খবর।
কোন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি? এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই ছাগল ব্যবসায়ীর নাম মোমিন খান। তিনি এই আবাসনের পাঁচ তলায় বসবাস করেন। এই ফ্ল্যাটেই দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফ। এই ব্যবসায়ী এলাকার মানুষজনের সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না। বেনামি সম্পত্তি তথা আয়–বহির্ভূত টাকা রয়েছে জানতে পেরেই এসটিএফ ১২ জন প্রতিনিধি নিয়ে এখানে হানা দিয়েছে। মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁ র স্ত্রী মেহতাব।ওই দম্পতিকে আটক করেছে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকান্তনগরে মোমিনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, প্রথমে পার্কসার্কাসের একটি বাড়িতে হানা দেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই এই ঠিকানা হাতে পান তাঁরা। তারপরই দু’টি গাড়িতে করে পুরো টিম নিয়ে এই বহুতলে আসেন। আর হানা দিয়ে সব খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে যাতায়াত ছিল অনেকেরই। তাই এই ফ্ল্যাটে সেই বিষয়টিই খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ চারজন বাংলাদেশিকে ধরেছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এদের সঙ্গে জঙ্গি–যোগ ছিল। গত শনিবার ধৃতদের গ্রেফতার করা হয় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে। এরা সবাই চট্টগ্রাম ও খুলনার বাসিন্দা। এই চার অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি জাল নথি তৈরি করে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে ব্যবসায়ীর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup