কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘোষণা হতেই রাজ্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে না জানিয়েই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবিচার দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর জন্য ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দিব্যেন্দুর দাবি, এর পর তাঁর জন্য বরাদ্দ রাজ্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রত্যাহার করা হয়েছে শিশিরবাবুর বুলেটপ্রুফ গাড়িটিও। তবে শিশিরবাবু ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ৩ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রেখেছে রাজ্য।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ঘোষণা হওয়ার পরেই কাঁথির শান্তিকুঞ্জে ২ জন সাংসদের জন্য ১২ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী চলে আসেন। তার মধ্যেই ফিরে যেতে বলা হয় দিব্যেন্দুবাবুর নিরাপত্তারক্ষীদের। সাংসদ বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। এর মধ্যে কেন রাজ্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল?’ তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এর সুবিচার আশা করবো।
গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর মার্চে অমিত শাহের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন শিশিরবাবু। তবে দিব্যেন্দু এখনো তৃণমূলেই রয়েছেন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্বকে সুপারিশ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।