খাদ্য ভেজাল আটকাতে আর কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে আরও ১৬টি ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার চালু করছে নবান্ন। যেগুলি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াবে। বর্তমানে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার কলকাতা-সহ বেশ কয়েক জেলায় ঘুরে বেড়ায়। সেই তালিকায় আরও ১৬টি নতুন গাড়ি যুক্ত হবে। ফলে মোট ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পারীক্ষাগারে সংখ্যা হবে ৩০।
শনিবার নবান্নে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ছাড়াও নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, খাদ্য প্রক্রিয়ারকরণ-সহ একাধিক দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে যে উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। বৈঠকে খাদ্যে ভেজাল চিহ্নিত করতে আরও ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে। সেই মতো আরও ১৬টি গাড়ি নামানোর কথা বলা হয়। প্রত্যেক জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় এই ৩০টি গাড়ি ঘুরে বেড়াবে। শুধু খাদ্য পরীক্ষাই নয়, সাধারণ মানুষকে ভেজাল খাদ্য সম্পর্কে সচেতনও করা হবে এই ভ্রাম্যমাণ গাড়িগুলি থেকে। সব ধরনের পরীক্ষা হয়তো গাড়িতে করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকছে, যেগুলি বিশেষ ভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে গাড়িগুলিতে ।
স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছর এপ্রিল থেকে এ বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি খাদ্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যেমে। এই ১০ মাসে জরিমানা ও লাইসেন্স ফি বাবদ ১২ কোটি টাকা সরকারি খাতে জমা পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন ১৬টি গাড়ি চালু হয়ে যাবে।