নিজেদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা এবং মামলা করার ক্ষমতা আছে কেন্দ্র বা সিবিআইয়ের। তাতে রাজ্য সরকার বাধা দিতে পারে না বা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রমেশচন্দ্র সিং বনাম অপর একজন ব্যক্তি বনাম সিবিআই মামলার রায়ের রেশ ধরে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিনয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যে মামলার শুনানি আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারকের এজলাসে চলছে। তারইমধ্যে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত খারিজের আবেদন করেছিলেন বিনয়। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'এই মামলায় যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে, যে আধিকারিক বা অভিযুক্তরা জড়িত আছেন এবং যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে সংবিধানে প্রদত্ত রাজ্যের ক্ষমতায় কোনওরকম হস্তক্ষেপের বিষয় নেই।'
গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিনয়ের আইনজীবী। ২০১৮ সালের নভেম্বর রাজ্যে সিবিআই তদন্তের জন্য যে 'সাধারণ অনুমতি' প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তা হাতিয়ার করে বিনয়ের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়ম মোতাবেক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই তদন্ত কতে পারে না। যদিও সেই সওয়াল ধোপে টেকেনি। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত যে কোনও সরকারি আধিকারিকের ক্ষেত্রে একইরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। সে তাঁরা যেখানেই কর্মরত হোন না কেন।
প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিনয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যে মামলার শুনানি আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারকের এজলাসে চলছে। তারইমধ্যে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত খারিজের আবেদন করেছিলেন বিনয়। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'এই মামলায় যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে, যে আধিকারিক বা অভিযুক্তরা জড়িত আছেন এবং যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে সংবিধানে প্রদত্ত রাজ্যের ক্ষমতায় কোনওরকম হস্তক্ষেপের বিষয় নেই।'
গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিনয়ের আইনজীবী। ২০১৮ সালের নভেম্বর রাজ্যে সিবিআই তদন্তের জন্য যে 'সাধারণ অনুমতি' প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তা হাতিয়ার করে বিনয়ের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়ম মোতাবেক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই তদন্ত কতে পারে না। যদিও সেই সওয়াল ধোপে টেকেনি। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত যে কোনও সরকারি আধিকারিকের ক্ষেত্রে একইরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। সে তাঁরা যেখানেই কর্মরত হোন না কেন। |#+|
সেইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তাতে কোনও কারণ নেই। সিবিআইকে তদন্তে বাধা দেওয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সুরক্ষাকবচ দেওয়ার জায়গা আছে। যদিও হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোনও কোনও মামলায় হয়তো রাজ্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে। যেখানে রাজ্য সরকারের কর্মীরা জড়িত আছেন।