এবার রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চলেছেন স্টেশন মাস্টাররা। আর তাঁরা যদি আন্দোলনে নামেন তাহলে দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যাবে। শূন্যপদে নিয়োগ থেকে সুরু করে সুরক্ষা এবং ‘স্ট্রেস’ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছেন স্টেশন মাস্টাররা। তাঁরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৩১ মে দেশজুড়ে কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা।
ক্ষমতায় আসার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশে দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে বছরে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। এমনকী বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হলেও ১৮টি চাকরি বাংলার ছেলে–মেয়েরা পাননি বলেও অভিযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে শুরু করেছে রেল বোর্ড।
ঠিক কী বলছেন স্টেশন মাস্টার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক? এই বিষযে অল ইন্ডিয়া স্টেশন মাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পি সুনীলকুমার বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে স্টেশন মাস্টারদের ৬ হাজারেরও বেশি পদ খালি পড়ে রয়েছে। যার ফলে কর্মরত থাকা স্টেশন মাস্টারদের উপর কাজের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে স্ট্রেসও। ফলে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। অথচ রেল বোর্ড এই সমস্যার সমাধানে কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ সেকেন্দ্রাবাদ ডিভিশনের একটি স্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টারের স্ট্রেসের জেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে সারা ভারত স্টেশন মাস্টার্স সংগঠনের কেন্দ্রীয়স্তরের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে শূন্যপদ পূরণ, সুরক্ষা/স্ট্রেস ভাতা–সহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত একদিনের কর্মবিরতি হবে। আর দাবি পূরণ না হলে বড় আকারে আন্দোলন হবে।