কবে ফের মেট্রো দৌড়াবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিললেই যাতে দ্রুত পরিষেবা শুরু করা যায়, সেজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
প্রস্তুতি-পর্ব নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। ছিলেন মেট্রো কর্তারাও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেট্রোর কামরায় যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দিল্লি মেট্রোর ধাঁচে আসনে স্টিকার লাগানো হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বের ব্যবধানে স্টিকার সাঁটানো থাকবে। সেই স্টিকারের উপর যাত্রীদের বসতে হবে। মেট্রোর মধ্যে যাত্রীরা যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেও দূরত্বের বিধি মেনে স্টিকার লাগানো থাকবে। ইতিমধ্যে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার জায়গাতেও স্টিকার লাগানো হয়েছে। দু'জন যাত্রীর মধ্যে একটি চেয়ার ফাঁকা হবে। পাশাপাশি স্টেশনের প্রবেশ পথ, টিকিট কাউন্টার, টিকিট পাঞ্চ করার জায়গা সর্বত্র যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
কিন্তু বাসে যেভাবে বিধিনিষেধ উড়িয়ে যাত্রীরা উঠছেন, পাতালেও সেরকম ঘটনা রুখতে কড়া পথে হাঁটতে চলেছে মেট্রো। সূত্রের খবর, কামরায় নির্দিষ্ট যাত্রী সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলে স্টেশনে ঢোকার মুখেই যাত্রীদের আটকে দেওয়া হবে। গেটগুলির ঝাঁপ ফেলে দেওয়া হবে। স্টেশনের বাইরেও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়াতে বলা হবে। স্টেশনে ঢোকার জন্য যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি স্টেশনে ঢোকার আগে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে যাত্রীদের স্টেশন ঢুকতে দেওয়া হবে না।
যাত্রীদের পাশাপাশি মেট্রোর কর্মীদের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। আরপিএফ কর্মী এবং মেট্রো কর্মীদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) দেওয়া হবে। যাত্রীদের সংস্পর্শেও না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।