পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে কি রাম-বাম জোট হবে? বামেরা অবশ্য সরাসরি এই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, তেমন কোনও সম্ভাবনাই নেই। এমন কী নীচু তলায় কেউ যদি এই ধরনের কোনও জোটের চেষ্টা করে, তবে তাকে দল থেকে তাড়ানো হবে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাইছেন তৃণমূলকে রাজ্যের তখত থেকে হঠাতে 'মহাজোট' হোক। মূল লক্ষ্য ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন হলেও জোটের সলতে পাকানো শুরু হোক আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে।
এই জোট নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে তাঁরা প্রার্থী দিতে পারবেন না, সেখানে তাঁরা 'কৌশলগত' অবস্থান নেবেন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সাংবাদিকরা যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, বিজেপি কি পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না? তাই কি তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে? উত্তরে সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন,'এতে তৃণমূলের চিন্তার কী? আমরা প্রার্থী নিতে দিতে না পারলে তাদেরই তো ভালো।' এর পর তিনি বলেন,'যেখানে আমরা প্রার্থী দেব না, সেখানে কৌশলগত অবস্থান নেব।' এই কৌশলগত অবস্থান কী? বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, 'এটা ক্রমশ প্রকাশ্য।'
(পড়তে পারেন: শোভনের মুখে ফিরহাদের সমালোচনা, কাননের দূরবীণে কি তবে মেয়রের চেয়ার?)
রাজ্যে একাধিক সমবায় সমিতির ভোটে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট করে জয় পেয়েছে বামেরা। কিছু ক্ষেত্রে আবার উল্টোটা হয়েছে। আবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস আটকে দিয়েছে তৃণমূলকে। ওই ভোটে বিজেপি সেভাবে লড়াই করেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি কংগ্রেস, বামেদের জমি ছেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ যেখানে নিজেদের জমি শক্ত নয় সেখানে অন্য বিরোধী দলকে 'খেলতে' দেওয়া। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী সেই কৌশলগত অবস্থানের কথা বলছেন?