সরকারি কর্মীদের বিদেশ সফর নিয়ে রাজ্য সরকার জারি করল কঠোর নির্দেশিকা। নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত ভ্রমণ হোক কিংবা এলটিসি (লিভ ট্রাভেল কনসেশন) বা সরকারি দায়িত্বে বিদেশ যাত্রা কোনও পরিস্থিতিতেই পূর্বানুমতি ছাড়া কোনও ধরনের বুকিং, টিকিট কাটা বা হোটেল সংরক্ষণ করা যাবে না। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুমতি পাওয়ার আগেই সফরের প্রস্তুতি নেওয়া প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল এবং এটি সরকারি নীতির পরিপন্থী আচরণ।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ উন্নয়নে গতি আনতে বড় পদক্ষেপ, আরও ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে রাজ্যের
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিছু কর্মী নিয়ম অগ্রাহ্য করে বিদেশ সফরের আগেভাগেই সমস্ত বন্দোবস্ত সেরে ফেলছেন। পরে শুধু অনুমতির আবেদন করছেন। এই প্রবণতা রুখতে কড়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছে নবান্ন। স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগে বুকিং করে পরে অনুমতি চাওয়া কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা বা বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী বিদেশ সফরের জন্য আবেদন করতে হবে সফরের নির্ধারিত তারিখের অন্তত চার সপ্তাহ আগে। দফতরগুলির প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেন নির্ধারিত প্রক্রিয়া ছাড়া কোনও প্রস্তাব নবান্নে না পাঠানো হয়। স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ, জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এক আধিকারিকের ভাষায়, বিদেশ সফরের অনুমোদন একটি সংবেদনশীল প্রক্রিয়া। আগে থেকে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি নিয়ে পরে প্রশাসনের কাছে শুধুমাত্র অনুমতির কাগজ দাবি করা যায় না। জানা গিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে কর্মীরা সফরের যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে রেখে শেষ মুহূর্তে নবান্নে আবেদন পাঠিয়েছিলেন, যা প্রশাসনের পক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।মুখ্যসচিবের নির্দেশে স্পষ্ট বার্তা, সরকারি কর্মীদের জন্য নিয়ম এক। তা কঠোরভাবে মানতে হবে। বিদেশ সফর পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, যেখানে অনুমোদনই প্রথম ধাপ। এই নতুন নির্দেশিকার ফলে অনুমতি প্রক্রিয়া যেমন আরও কড়া হবে, তেমনি বাড়বে স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধও।