বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বুধবার কর্মবিরতিতে সরকারি কর্মীদের একাংশ, হাসপাতালে, স্কুলে কী হবে জেনে নিন

বুধবার কর্মবিরতিতে সরকারি কর্মীদের একাংশ, হাসপাতালে, স্কুলে কী হবে জেনে নিন

সাংবাদিক বৈঠকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা

হাসপাতাল পরিষেবা সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন, জরুরী পরিষেবা চালু থাকবে। যারা ভর্তি হয়েছেন তাঁদের কোনও জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই পরিষেবা পাবেন। সংগ্রামী মঞ্চের দাবি, কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে সরকার। সংবিধানের দেওয়া অধিকারকে মানছে না সরকার।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হল বাংলা জুড়ে। ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরকারি কর্মচারীদের একাংশ রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। বকেয়া ডিএর দাবিতে কর্মবিরতি। এই কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তির সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে ক্রমশ।

আন্দোলনকারী নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দাবি মূলত দুটো। রাজ্য সরকারি কর্মীদে ডি এ বকেয়া। দেশের মধ্যে বাংলায় সর্বোচ্চ সীমায় গিয়েছে এই বঞ্চনা। আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে আমাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমস্ত স্কুল কলেজ, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পদ খালি রয়েছে। সেই পদে নিয়োগ করতে হবে। সেখানে স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। বহুবার এনিয়ে আবেদন নিবেদন করেছি. কিন্তু কাজ হয়নি। বাধ্য হয়েই ২৭ তারিখ থেকে ধর্নায় বসেছি। লাগাতার ধর্না চলছে। আমরা এই মঞ্চ থেকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ২৮ টি সংগঠনকে নিয়ে আমাদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে দলীয় রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। যতদিন সরকারি দাবি না মানবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।

এর সঙ্গেই সংগঠনের নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ২ টো থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত সমস্ত সরকারি বিভাগ, হাসপাতালে, স্কুলে সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি পালিত হবে। স্কুল সহ সমস্ত বিভাগে লাগাতার কর্মবিরতি হবে। তাতে যদি কাজ না হয় তবে আন্দোলন আরও বড় হবে।

এর সঙ্গেই হাসপাতাল পরিষেবা সম্পর্কে তাঁরা জানিয়েছেন, জরুরী পরিষেবা চালু থাকবে। যারা ভর্তি হয়েছেন তাঁদের কোনও জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই পরিষেবা পাবেন। সংগ্রামী মঞ্চের দাবি, কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে সরকার। সংবিধানের দেওয়া অধিকারকে মানছে না সরকার।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মিথ্যা কথা বলছেন। ক্ষমতার লালসায় এসব করছেন। সরকারি কর্মচারীদের মাথায় বিগত ১১ বছর ধরে তেলই পড়েনি। একবার তেল পড়লে তারপর তেল দিলেই তো বলা হবে তেলা মাথায় তেল। এসব বাজে কথা বলা হচ্ছে দাবি আন্দোলনকারীদের।

এদিকে বকেয়া ডিএর দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনার চত্বরে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এবার একেবারে কর্মবিরতির ডাক। আগামী বুধবার দুঘণ্টার জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে হাসপাতালেও এই কর্মবিরতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এখানে প্রশ্ন, হাসপাতালে কর্মবিরতি হলে রোগী পরিষেবায় বিঘ্ন হলে তার দায় কে নেবে?

 

বন্ধ করুন