ঘূর্ণিঝড় আমফান চলে যাওয়ার পর বর্ষা আসার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে মেঘলা আকাশ। প্রাক বর্ষার পদধ্বনী বলে মনে হলেও আবহবিদরা শোনাচ্ছেন অন্য কথা। তাঁদের কথায় এখুনি বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। তবে চলতে পারে ঝড়বৃষ্টি।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের প্রতিবেদন অনুসারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার ওপর দিয়ে লাগাতার ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে। পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন এলাকায় জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে হাওয়ার এই দাপাদাপি।
উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ড ও বিহার লাগোয়া এলাকায়। যার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্র হাওয়া লাগাতার দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে দ্রুত বেগে বয়ে চলেছে। কিন্তু হাওয়ার বেগ বেশি হওয়ায় ভারী মেঘ তৈরি হতে পারছে না। যার ফলে বৃষ্টি হচ্ছে না।
আগামী ৪ দিন, মানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের আকাশে কখনো হালকা কখনো ভারী মেঘ থাকতে পারে। কোথায় কোথায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কিছু জায়গায়। তবে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি বজায় থাকবে।
উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিন লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে কিছু জেলায়। এটি প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বলছেন আবহবিদরা।
মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা এই মুহূর্তে আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। আরবসাগরীয় শাখা আগামী ১ জুনের মধ্যে কেরলে পৌঁছবে বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু কেরল পৌঁছতে পারে ৫ জুন।