কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র দ্বৈপায়ন দাস। সোমবার গড়ফার বাড়ি থেকে দ্বৈপায়নের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরীক্ষার সময়ে মোবাইল নিয়ে ঘেঁটে পড়াশোনা করতে বলেছিলেন বাবা। এনিয়ে নাকি বাবা–ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এটাই কী ছাত্রের আত্মহত্যার কারণ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা যায়, গড়ফার ছেলে দ্বৈপায়ন হেরম্বচন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। দ্বৈপায়নের স্নাতক স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। সোমবার তাঁর পরীক্ষা ছিল। রবিবার রাতে দ্বৈপায়নকে মোবাইল ঘাঁটতে দেখে বারন করেন তাঁর বাবা। কিন্তু সে তা শোনেনি। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। যখন এই ঝামেলা চলছিল, তখন বাড়িতে ছিলেন না দ্বৈপায়নের মা। রথ যাত্রা উপলক্ষে পুরীতে গিয়েছিলেন দ্বৈপায়নের মা। সোমবার বাড়ি ফিরে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কলেজ ছাত্রটির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ছেলেটির গলায় শাড়ির ফাঁস ছিল।
জানা যাচ্ছে, গেট খেলায় খুব শখ ছিল দ্বৈপায়নের। গেম খেলা সে এতটাই ভালোবাসত যে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম ‘লিওনেক্স দ্বৈপায়ন’ রেখেছিল সে। খেলা সংক্রান্ত প্রচুর জিনিস শেয়ার করত সে। রবিবারও সে শেয়ার করেছিল। দ্বৈপায়নের বাবার বক্তব্যেও উঠে আসে সেই প্রসঙ্গই। তিনি জানান, ‘মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাঁটি করত, গেম খেলত। সোমবার পরীক্ষা ছিল। তাই বকাবকি করেছিলাম।’ পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই আত্মহত্যার পিছনে কী বাবার বকাবকিই কারণ, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।