আরজিকর হাসপাতাল নিয়ে মামলায় সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। হাসপাতালের স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে একটি ফলকনামা জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতে সেই হলফনামায় সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছে স্টুডেন্ট ফোরাম। তাদের বক্তব্য, সিনিয়র ডাক্তাররা তাদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছিল। সেই কারণে আরজিকর হাসপাতালে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছিল বলে দাবি জানিয়েছে স্টুডেন্ট ফোরাম। একইসঙ্গে এর জন্য হলফনামায় ক্ষমা চেয়েছে স্টুডেন্ট ফোরাম।
হলফনামায় স্টুডেন্ট ফোরাম শান্তনু সেন, কৌশিক চাকী-সহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ চিকিৎসকে বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তাদের বক্তব্য, এই সমস্ত প্রবীণ ডাক্তাররা তাদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছে। নিজেদের সুবিধা চরিতার্থ করার জন্য তারা ছাত্রদের পুতুলের মতো ব্যবহার করেছে। যদিও অবশ্য শান্তনু সেন দাবি করেন যে পড়ুয়াদের ওপর চাপ দিয়ে এই সমস্ত কথা বলানো হচ্ছে। কিছু সিনিয়র ডাক্তার তাদের আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন। আরও অভিযোগ, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের কমপ্লিশন সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত এই সার্টিফিকেট ছাড়া পড়ুয়াদের এমবিবিএস ডিগ্রী পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত যে সমস্ত পড়ুয়ারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের অনেকেই এই সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
হলফনামায় পড়ুয়াদের স্পষ্ট বক্তব্য, কিছু সিনিয়র ডাক্তার তাদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছিলেন। ফোরামে তরফে জানানো হয়েছে, তাদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন। তাদের আন্দোলনের একটা উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু, পরে তারা বুঝতে পারেন যে সিনিয়ররা তাদের ভুল পথে চালিত করছে। তারা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্ন হওয়ার জন্য হলফনামায় স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়।