বরানগরে বিশেষভাবে সক্ষমদের হাসপাতালের হস্টেলে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রের উদ্ধার হয়েছে। তবে এই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার জেরে হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। ঘটনাস্থলে বরানগর থানার পুলিশ আসলে তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। এই হস্টেলে থাকতেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিং। এখানে হঠাৎই তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হস্টেল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রিয়রঞ্জন মারা যান বলে তাঁর বন্ধুদের দাবি।
ঠিক কী ঘটেছে বরানগরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বরানগর বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে। ছাত্রদের অভিযোগ হাসপাতালে কোনরকম কোন ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই। আর তাই কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জন সিংয়ের। আজ, মঙ্গলবার হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে পরিষেবা বন্ধ করে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিহারের গয়ার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন সিং। বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের ডাক্তারির ছাত্র। আজ, মঙ্গলবার সকালে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে যায়। আর তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বরানগরের প্রতিবন্ধী হাসপাতাল চত্বর। এমনকী পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্ত করেই মুখ খুলতে চাইছে।
কী বলছেন প্রিয়রঞ্জনের বন্ধুরা? হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রিয়রঞ্জনের বন্ধুরা বলছেন, ‘সোমবার রাতে প্রিয়রঞ্জনকে ওর এক রুমমেট ফোন করে। কিন্তু ও ফোন তোলেনি। বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়েছিল। তবু তোলেনি। তখনই হস্টেল রুমের দরজায় গিয়ে ধাক্কা দিলেও কেউ খোলেনি। জানলা দিয়ে দেখা যায় ঘর অন্ধকার। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে দেখে যায় কিছু একটা ঝুলছে। তখনই দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় প্রিয়রঞ্জনকে। তখনও প্রাণ ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে অক্সিজেন পর্যন্ত ছিল না। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পর্যন্ত নেই। তাই বাঁচানো যায়নি।’