ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। অবশেষে তিন দিন বিক্ষোভ চলার পর পড়ুয়ারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন। আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট খুলে দেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুললেও পরীক্ষা বাতিল হবে নাকি স্থগিত রাখা হবে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ক্লাসে অধ্যাপিকা-ছাত্র 'বিয়ে', সিঁদুরদান নাটক নয়! কী আছে MAKAUT তদন্ত রিপোর্টে?
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট খুলে দেওয়ার পরে মৃত ছাত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ওয়েবকুপা, সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতি ও ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগে রেজিস্টারের উপস্থিতিতে মৃত ছাত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরজন্য ক্যাম্পাস চত্বরে একটি শোক মিছিল করে তারা। প্রসঙ্গত, তিন দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছেন রেজিস্ট্রার। মূলত প্রধান গেট আটকে আন্দোলনকারীরা ভেতরে রেজিস্ট্রার হটাও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও স্লোগান দিতে থাকেন। এদিন গেট খোলার আগে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। গন্ডগোলের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মী আহত হয়ে পড়েন। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা পড়ুয়ারা উপাচার্য হটাও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও স্লোগান দিতে থাকেন। মঙ্গলবার আন্দোলন চলাকালীন উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যপালের নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস বাবুর পদত্যাগের দাবি করেন।
মূলত এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সোমবার হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অ্যাম্বুলেন্স রাখার পাশাপাশি অন্যান্য দাবি জানান। এছাড়াও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে তারা তাঁকে আটকে রাখেন। এরপরে মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা চলছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরে যান।