এবার শিক্ষকের অভাবের অভিযোগ তুলে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হল গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটে (গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ)। অভিযোগ, এখানে ভারতীয় চিত্রশৈলীর শিক্ষকের অভাবে শিক্ষা লাটে উঠেছে। এখানে স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা শূন্যে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেছেন পড়ুয়া শিল্পীরা। আর তাতেই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ সূত্রে খবর, চিত্রশিল্পের উপধারা বেঙ্গল আর্ট স্কুলও ভারতীয় চিত্রশৈলীরই অঙ্গ। যার প্রাণপুরুষ ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে এটার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নন্দলাল বসুও। একসময় যে বিভাগের জন্য এই প্রতিষ্ঠান বিখ্যাত ছিল, সেখানে এখন স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা শূন্য। তাই এই পরিস্থিতির অবিলম্বে বদল প্রয়োজন।
ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছে? জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিল্পরীতি কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ ছাড়া আর কোথাও শেখানো হয় না। তাই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি উঠেছে। এই বিষয়ে চিত্রশিল্পী সমীর আইচ বলেন, ‘ভারতীয় শিল্পরীতি গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ ছাড়া আর কোথাও তেমন শেখানো হয় না বললেই চলে। রাজস্থানে কিছুটা আছে। তবে রাজ্যের বাইরের লোকজন কিন্তু এর জন্য কলকাতার আর্ট কলেজকেই চেনেন। তাই আমাদের এটা বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।’
কী বলছেন ছাত্রছাত্রীরা? নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানান, আমাদের পাঁচ বছর মিলিয়ে ৪১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। স্থায়ী শিক্ষক রতন আচার্য ৩১ জানুয়ারি অবসর নেওয়ার পরে আর কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। অস্থায়ী শিক্ষকরাও এখন আর ক্লাস নেন না। তাই এই এখন এই বিভাগে কোনও ক্লাসই হচ্ছে না। এই জন্যই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।