বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mid-Day Meal: রাজ্যের মিড ডে মিলে মিলবে মুরগির মাংস, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত ‌

Mid-Day Meal: রাজ্যের মিড ডে মিলে মিলবে মুরগির মাংস, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত ‌

মিড ডে মিল খাচ্ছে পডুয়ারা

বাংলায় একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার পর মিড–ডে মিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। আর বাকি ৪০ শতাংশ আসে রাজ্যের তহবিল থেকেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অল্প সময়কালের জন্য এই সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।

এবার মিড–ডে মিলে মুরগির মাংস খেতে পারবে পড়ুয়ারা। রাজ্যের সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলে ডাল, ভাত, তরকারির সঙ্গে এবার থেকে থাকবে মুরগির মাংসও। এমনকী ফলও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের মধ্যে। সামনেই এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এটা বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের বলে অনেকে মনে বলছেন।

কবে থেকে মিলবে মুরগির মাংস?‌ জানুয়ারি মাস থেকেই মুরগির মাংস খেতে পারবে পড়ুয়ারা বলে খবর। আর এই মুরগির মাংস মিলবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। মিড–ডে মিলে নতুন খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্তে এখন জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। আর সপ্তাহে তিন দিন দেওয়া হবে ডিম সঙ্গে থাকবে ফলও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সুখবর শোনাল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শীতের ছুটি কাটলেই পড়ুয়াদের পাতে পড়বে মুরগির মাংস।

কত টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে?‌ মিড–ডে মিলে মুরগির মাংস এবং ফলের জন্য ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার। প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়াপিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার। মিড–ডে মিল নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছে রাজ্য সরকার। সুতরাং আগামী ৪ মাস—জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মিড–ডে মিলে নতুন মেনু নির্ধারণ হয়েছে। চিকেন মিলবে সপ্তাহে তিনদিন। ডিম এবং মরসুমি ফলও দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রাজ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি পড়ুয়াকে মিড–ডে মিল দেওয়া হয়। মুরগির মাংস এবং মরসুমি ফল যোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি মিড–ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি কমাতে কেন্দ্রীয় মনিটারিং দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রক। বাংলায় একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার পর মিড–ডে মিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। আর বাকি ৪০ শতাংশ আসে রাজ্যের তহবিল থেকেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অল্প সময়কালের জন্য এই সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।

বন্ধ করুন