থানার সামনেই কলেজের পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেল। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভবানীপুর থানা চত্বর। দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল, কাঁচের বোতল ছোঁড়া হল। ছাত্র সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হলেন ভবানীপুর থানার অতিরিক্ত ওসি রাজীব সাহু। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় ৯টি সেলাই পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ওই পুলিশ আধিকারিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ভবানীপুর থানার সামনে। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক দিন ধরেই আশুতোষ কলেজ ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলেজের দু’দল ছাত্রদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল। দু’টি কলেজের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা কারণে একাধিকবার থানায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিল। এক কলেজ ছাত্রের অভিযোগ, দু’দল যাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন, প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। কলেজে অনিয়ম করে টাকা তোলার অভিযোগ তোলে এক পক্ষ। একটি দল সেটা সমর্থন না করায়, তাঁদের মারধর করা হয়। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিযেছেন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করার পর শনিবার সন্ধ্যায় দু’দলই কলেজের দিকে ফিরছিল। ভবানীপুর থানার সামনে আসতেই দু’দলের মধ্যে সংঘর্য় বেঁধে যায়। একে অপরের উপরে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। কাঁচের বোতলও উড়ে আসতে থাকে। এই সংঘর্ষের বিষয় জানতে পারেন ভবানীপুর থানার অতিরিক্ত ওসি রাজীব সাহু। তৎক্ষণাৎ তিনি থানা থেকে বেরিয়ে এসে সংঘর্ষ থামাতে উদ্যোগ নেন। তখনই একটি ইট উড়ে এসে তাঁর মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি অন্যান্য পুলিশকর্মীরা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যান।