ইন্টার্নশিপ শেষ হতেই আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ছাত্রীদের অবিলম্বে হস্টেল ফাঁকা করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হোস্টেল ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন কলেজের ২০ জন ছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে বা সুদূর জেলা থেকে এখানে রয়েছেন। আচমকা হোস্টেল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ফলে তাঁরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে চলছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ–অবস্থান। গত ২ দিন ধরে তাঁদের আন্দোলন চলছে। তাতে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য পড়ুয়ারা। টানা আন্দোলনের ফলে অসুস্থ হয়েছেন ছাত্রী এবং তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে পড়ুয়াদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। যার ফলে হস্টেল কমিটির চেয়ারম্যান অর্থাৎ কলেজের ডিন অমল চক্রবর্তী পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানান, ‘আমি নিজে বহুবার অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু উনি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি। আলোচনার পর এ বিষয়ে জানাবেন।’ ছাত্রীদের অভিযোগ, গত ৩ জানুয়ারি ৭০ জন ছাত্রীর ইন্টার্নশিপ শেষ হয়েছে। তাঁদের হাউসস্টাফশিপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন ছাত্রী হস্টেলেই রয়েছেন। কিন্তু, গত বুধবার আচমকা হস্টেলে এসে সুপার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়ার বিষয়টি জানান। হস্টেলে রয়েছেন ত্রিপুরার বাসিন্দা পৌষালী দে নামে এক ছাত্রী। এভাবেই অনেকেই রয়েছেন যারা দূরবর্তী এলাকার বাসিন্দা। ছাত্রীদের দাবি, তাঁরা এ বিষয়ে বারবার অধ্যক্ষের কাছে জানানোর পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
এদিকে, টানা বিক্ষোভে শিউলি মজুমদার নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন পড়ুয়াদের জন্য জায়গা খালি করার জন্যই হস্টেল ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের পাল্টা দাবি, একটি হস্টেল সংস্কার করে রাখা হয়েছে। সেখানে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক। যদিও কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনের কোনও অনুমতি মেলেনি।