কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রী। বুধবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন এই সাক্ষাৎকারকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় আবার কী শিবির বদল করবেন? রাজ্য–রাজনীতির অন্দরে এই সাক্ষাৎকারে সেই জল্পনার সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সংকটের সময় সব ভুলে গিয়ে একসঙ্গে আসাই ভালো। কষ্টের সময় একসঙ্গে থাকা উচিত। পূর্বপরিচিত, দেখা করতেই পারেন।’
বিজেপি রাজ্য–সভাপতির এই মন্তব্য নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ মুকুল রায়–শুভ্রাংশু রায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান তাহলে তিনি একছত্র অধিপতি হবেন। তাই কৌশলে বিষয়টি লঘু করতে চাইলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। এখন তাঁর মাথার উপর আছেন মুকুল রায়। যদিও মুকুল–শুভ্রাংশু কারও সঙ্গেই দেখা হয়নি অভিষেকের। শুধুমাত্র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই হাসপাতাল ছাড়েন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে মুকুল–পুত্র শুভ্রাংশু রায় সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘মা অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের সৌজন্যের রাজনীতির উদাহরণ আগে রয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আর ভবিষ্যতেও দেখা যাবে কিনা জানি না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।’ আর এই কথাটি বলাতেই রাজ্য–রাজনীতিতে ফের তাঁর দলবদল নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
কিছুদিন আগেই শুভ্রাংশু রায়ের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। বিতর্কের সূত্রপাত শুভ্রাংশু রায়ের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে। যেখানে তিনি লেখেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে, আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন।’ তারপর মোবাইলের কলার টিউনে ফিরে যাবার সুর মুর্ছনা আরও তাতে ইন্ধন জুগিয়েছিল। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘অনেক জল্পনা চলছে। অনেকে অনেক কিছু লিখছেন। মনের দু:খের কথা লিখছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সঙ্গে রাজনীতি বা সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।’