পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে উদ্বেগ কাটল না। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে। শারীরিকভাবে মন্ত্রীকে স্থিতিশীল বলা যাবে না।
আপাতত এসএসকেএমের আইসিসিউ ভরতি আছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্র খবর, হৃদপিণ্ডের সমস্যা আছে সুব্রতের। সঙ্গে সিওপিডি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও আছে। একাধিক পরীক্ষার পর সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁর বুকেও। শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে সোমবার সকালে আইসিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ মেডিকেল বোর্ড। তাতে হৃদরোগ, মেডিসিন-সহ একাধিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিভিন্নরকম ওষুধ চলছে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে। মন্ত্রীকে আপাতত বিপন্মুক্ত বলা যাবে না। শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল নয়।
পরিবার সূত্রে খবর, পুজোর পর থেকেই মন্ত্রীর শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সোমবার সকালে বাড়িতেই অসুস্থ বোধ করেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য সকালে তাঁকে এসএসকেএমে ভরতি করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার সময় শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে কার্ডিয়োলজি বিভাগ থেকে আইসিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মে'তে নারদ মামলায় গ্রেফতারির পরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি জেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম ভরতি করা হয়েছিল। ছিলেন উডবার্ন ওয়ার্ডে। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। তারইমধ্যে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসে যায় দুর্গাপুজোও। একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর দায়িত্ব আছে তাঁর উপর। সেই কারণেই বিশ্রামের সুযোগ সেভাবে পাননি বলে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।