আরও এক বিরল অস্ত্রোপচারের সাক্ষী থাকল এসএসকেএম। দীর্ঘদিন ধরে ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি রোগে ভুগছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা চল্লিশ বছরের দিলীপ রায়। এই অসুখে হৃদপিণ্ডের আকার বড় হয়ে যায়। ফলে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে। এবার চিকিৎসকদের উদ্যোগে হৃদপিণ্ডের সফল প্রতিস্থাপন সম্ভব হল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিলীপবাবুর হৃদপিণ্ডের পেশীগুলি রক্তকে পাম্প করতে পারছিল না। হৃদপিণ্ডের প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়েছিল। হৃদপিণ্ডের পেশীগুলি স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে শক্ত হয়ে গিয়েছিল। হৃদপিণ্ডের পেশী পাম্প করতে না পারায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রয়োজনীয় রক্ত পৌঁছোছিল না। ফলে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এমন একটি হৃদপিণ্ড প্রয়োজন ছিল যা শরীরের সঙ্গে মানানসই। জানা যায়, খোঁজ করতেই বর্ধমান পূর্বের জামুদহ গ্রামের বাসিন্দা ব্রেন ডেথ হওয়া নব কিস্কুর হৃদপিণ্ড দান করতে রাজি হয় তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর নব কিস্কুর হৃদপিণ্ড বসানো হয় দিলীপ রায়ের শরীরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদপিণ্ডটি সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হতে পেরেছে।
এসএসকেএমের চিকিৎসক সন্দীপ কুমার করের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই বিরল অস্ত্রোপচার করেন। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার কর জানান, ‘৭ দিন ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরতে পারবেন। বাড়ি ফেরার পর একবার ওকে চেক আপ করতে হবে।’ চিকিৎসকদের মতে, হৃদপিণ্ডের এই সফল প্রতিস্থাপনের ফলে দিলীপবাবু দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন। এই অস্ত্রোপচার যদি না হত, তাহলে উনি আর দুবছর বাঁচতে পারতেন।