রাজ্যে শিক্ষায় পিপিপি মডেলের খসড়া ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এবার শিক্ষায় পিপিপি মডেল নিয়ে সমালোচনায় সরব হল এসইউসিআই। পিপিপি মডেলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মিছিল করা হয় এসইউসিআই-এর পক্ষ থেকে। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পর্যন্ত এদিন তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এই মিছিলে যোগ দেন প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত গৌরী, তরুণ নস্কর প্রমুখ। মিছিলে ছিলেন এসইউসিআই-এর রাজ্য সম্পাদক চন্ডীদাস ভট্টাচার্য। তাদের অভিযোগ, ‘শিক্ষাক্ষেত্রকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিলে সে ক্ষেত্রে অনেক পড়ুয়া শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ কর্পোরেটদের দৌলতে তখন শিক্ষাব্যবস্থার আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে পিপিপি মডেল বাতিল করতে হবে।’
গত বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষায় পিপিপি মডেল নিয়ে একটি খসড়া ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিতর্ক তৈরি হয়। খসড়া অনুযায়ী, সরকার জমি,বাড়ি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো দেবে। বেসরকারি সংস্থা সেখানে নিজেদের ইচ্ছেমতো বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুল করতে পারবেন। তারাই শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী নিয়োগ করবেন। এরপরেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে শিক্ষক সংগঠন এবং রাজনৈতিক মহল এর তীব্র বিরোধিতা করে। শিক্ষকদের একাংশ একে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।