দিল্লি দখল নিয়ে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে গোয়া, তৃণমূল কংগ্রেস, মেঘালয়ের মতো ছোট ছোট রাজ্যে শাখা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা থেকে নেতারা প্রতি সপ্তাহেই বিমানে করে ভিনরাজ্যে যাচ্ছেন। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি, মুম্বই, গোয়া সফরে গিয়েছেন। তবে এত কিছুর মাঝেও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে একলা চলো নীতিতে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। একমাত্র অখিলেশ যাদব ছাড়া আপাতত কোনও বিজেপি বিরোধী দলই কংগ্রেস বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে গলা মেলাতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দিল্লি দখলের অঙ্কটা যে প্রায় অসম্ভব, সেই বিষয়ে কংগ্রেস-বিজেপি উভয় দলই সরব হয়েছে। এই আবহে এবার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও গলায় কিছুটা সংশয়।
এদিন কলকাতা পুরভোটে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বেরিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সূদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল সরকার গঠন করবে কি না তা বলতে পারছি না তবে তৃণমূল সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হবে বা অন্য কোনও দলের সাথে জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসতে পারে।’ এরপর প্রধানমন্ত্রীর গোয়া সফর নিয়ে কটাক্ষের সুরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যেখানেই নির্বাচন থাকে সেখানেই প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে যান। আমরা বাংলায় দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন নিত্য যাত্রী।’
এদিকে আজকে সকাল থেকেই কলকাতা পুরভোটে বাংলার নির্বাচনের পুরোনো চিত্র ফিরে আসতে দেখা গেল। বিধানসভায় বড় ব্যবধানে জিতে পুরভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল ঘাসফুল শিবির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছিল শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা। তবে সেই বার্তা খুব সম্ভবত দলের নিচু তলার কর্মী পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আবার তৃণমূলের প্রশাসনের এই দশা গোটা দেশের সামনেও চলে এসেছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় জয় এবং মমতা-অভিষেকের বারংবার হুঁশিয়ারিতে অনেকেই মনে করেছিল, এবারের কলকাতা হয়ত অন্যরকম হবে। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। শহরের বিভিন্ন বুথেই উঠেছে ভোট লুঠ, হিংসার অভিযোগ।