রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল তাঁর চিঠিতে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়ার। হ্যাঁ, তিনি সারদা–কর্তা সুদীপ্ত সেন। যাঁর চিঠিতে এবং কথায় উঠে এসেছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। এবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু–সৌমেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার বিস্ফোরক তথ্য দিলেন।
ঠিক কী জানিয়েছেন সারদা–কর্তা? আজ, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সুদীপ্ত সেন জানান, শুভেন্দু অধিকারী বহু লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। টাকা নেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও। সব কিছু বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া আছে সিবিআইকে। শুভেন্দু অধিকারী একবার ৫০ লক্ষ টাকা নেন। আর অন্য একটি প্রজেক্টের জন্য ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। এছাড়া তাঁকে আরও অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে।
আর কী জানান সারদা–কর্তা? শুভেন্দু–সৌমেন্দু অধিকারী ছাড়াও মুকুল রায় এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির নামও উল্লেখ করেন সুদীপ্ত সেন। এই সব কথা প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। যে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সেই তাঁর নামেই এত বড় অভিযোগ। এমনকী তাঁর ভাইদের নাম এবার জড়িয়ে যাওয়ায় গোটা অধিকারী পরিবারে সারদার টাকা ঢুকেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাদের এই তথ্য দিয়েছেন সারদা–কর্তা? শুভেন্দু, সৌমেন্দু–সহ কারা তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তা সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আদালতকে। তিনি প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পর্যন্ত লিখে বিশদে জানিয়েছেন। একদিন আগেই রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন। এবার তাতে আরও চাপ বাড়ল।