২০১৩ সালে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে। ওই সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ও ধরা পড়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে সারদা কর্তার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের ধারায় মামলা করে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে সুদীপ্তর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর দাবি, ইডির করা মামলায় ওই ধারায় সর্বাধিক সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই মামলায় ২০১৫ সালে আদালত জামিনও মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু আরও কয়েকটি মামলা থাকায় জেল থেকে সুদীপ্ত ছাড়া পাননি। এদিকে আইনজীবীর দাবি, সর্বাধিক সাজার চেয়েও আরও ১১ মাস জেলেই রয়েছেন সুদীপ্ত। সেক্ষেত্রে ইডির মামলা থেকে অব্যহতি চাইলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন।
তবে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানিয়েছেন, সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি পরবর্তী শুনানিতে অংশগ্রহণ করব। এদিকে আগামী ৪ঠা অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। তবে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। তার তদন্ত এখনও চলছে। এদিকে বিভিন্ন মহলের দাবি, সারদায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন অনেকেই। বহু মানুষকে কার্যত পথে বসতে হয়েছে। বেআইনী এই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের পারদ এখনও নামেনি।