চিকিৎসক অবন্তিকা ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারের বদলি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি। তার আধঘণ্টার মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যু ওই সরকারি চিকিৎসকের।অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে তাঁর মৃত্যুর পরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে। ১৬ই অগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন ওই চিকিৎসক। তিনি লিখেছিলেন, ‘কীভাবে শান্তি পাব, চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে। ৮ বছর প্রান্তিক এলাকায় কাজ করার পর আবার একটা প্রান্তিক এলাকায় ঠেলে দেওয়া হল। তাও আবার একই কাজে। আর নিতে পারছি না।’ এদিকে সূত্রের খবর এই ফেসবুক পোস্টের আধঘণ্টার মধ্যেই তিনি গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার রাতে এসএসকেএমে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর থেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ার পাতায় অবন্তিকার এই পরিণতির জন্য কারা সেই প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের অনেকেই।
এদিকে সূত্রের খবর তাঁর চিকিৎসক স্বামী মুর্শিদাবাদে কর্মরত। তাঁদের অটিজমে আক্রান্ত ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অবন্তিকা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এবার তাঁকে ডায়মন্ডহারবারে পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের বদলিতে স্বজনপোষন হয়। তার জেরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে আইএমএর রাজ্য সম্পাদক তথা সাংসদ শান্তনু সেন তাঁর ফেসবুকের পাতায় ওই চিকিৎসকের চলে যাওয়া নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের বদলি নীতি স্বচ্ছ। এখানে স্বজনপোষন হয় না। চিকিৎসকের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত হবে।