বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > তারকাটা, শিলিগুড়ির বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে…সৌমিত্রর চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক সুজাতা

তারকাটা, শিলিগুড়ির বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে…সৌমিত্রর চরিত্র নিয়ে বিস্ফোরক সুজাতা

সৌমিত্র খাঁ এবং সুজাতা মণ্ডল।সুখের সেদিন। ফাইল ছবি

কার্যত শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন একাধিক নেটনাগরিক। অপরজন লিখেছেন, এই অবৈধ সম্পর্ক কতদিন চলছে বলে আপনি জানেন? তার উত্তরও দিয়েছেন সুজাতা। তিনি লিখেছেন চার বছর।

সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য় আইনগত লড়াইও চলছে আদালতে। তার মধ্যেই ফের বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নাম না করে  তির ছুঁড়লেন সুজাতা মণ্ডল। এবার বিজেপি সাংসদের চরিত্র ধরেই টানাটানি করলেন তিনি। 

একেবারে ফেসবুকে পোস্ট করে বিস্ফোরক দাবি সুজাতা মণ্ডলের। ফেসবুকের ক্য়াপশনে তিনি লিখেছেন, 'রক্ষিতা বিধবার দৌলতে আগামী দিনে জুটবে না পরনে কাছা, তাই এমপি বুঝেশুনে মরণের আগেভাগেই গলায় দিয়েছে গামছা। আগে আগে দেখো ইয়ে পাগল কা হোতা হ্য়ায় ক্যায়া।'

এরপরই সুজাতার পোস্ট,  'একজন বদ্ধ পাগল, মাতাল, চরিত্রহীন, লম্পট, শিলিগুড়ির বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে ফূর্তি করা, তারকাটা, দলবদলু, দুর্নীতিগ্রস্ত, ধান্দাবাজ, অন্যের ঘাড়ে চেপে শেষবারের মতো জেতা, এমপি বিষ্ণুপুরের বুকে গলায় গামছা নিয়ে হুমকি প্রমাণ দিচ্ছে যে তার সময় শেষ হয়ে এসেছে। আর মাত্র কয়েকটা মাস তারপরই তার নামে বলো হরি হরি বোল…বলে পাবলিক তাকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে দেবে।

রক্ষিতা বিধবার দৌলতে আগামী দিনে জুটবে না পরনে কাছা, তাই এমপি বুঝেশুনে মরণের আগেভাগেই গলায় দিয়েছে গামছা। কেয়া বাত, কেয়া বাত! সময়ের সাথে প্রত্য়েকটা কথা মিলিয়ে নেবেন জনগণকে বলছি।' 

একেবারে চাঁচাছোলা আক্রমণ। তবে তার উত্তরও এসেছে নেটপাড়ায়। একজন লিখেছেন আপনিও তো দলবদলু। অপরজন লিখেছেন, তাহলে কি রক্ষিতাই তোমার ঘর ভাঙল? 

কার্যত শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন একাধিক নেটনাগরিক। অপরজন লিখেছেন, এই অবৈধ সম্পর্ক কতদিন চলছে বলে আপনি জানেন? তার উত্তরও দিয়েছেন সুজাতা। তিনি লিখেছেন চার বছর। 

সৌমিত্র ও সুজাতা। একটা সময় ছিল যখন একই শব্দবন্ধনীর মধ্যে উচ্চারিত হত এই দুটি শব্দ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে দুজনেই ছিলেন বিজেপিতে। সেই সময় দেখা যেত সুজাতা খাঁ তাঁর স্বামীর জন্য় একাই প্রচার করছেন। হাতজোড় করে ভোট চাইছেন সাধারণ ভোটারের কাছে। তারপর জিতেও যান সৌমিত্র। তারপর দিল্লিতে সংসদের অলিন্দে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। কিন্তু সম্পর্কের সেই মধুর রসায়ন আজ অতীত। আজ গোটাটাই তিক্ততা। আর তার প্রকাশও ঘটছে সামাজিক মাধ্যমে। আর বর্তমানে সুজাতা নিজেও শিবির ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কের দূরত্বের মধ্য়েও আজ যোজন ফারাক। 

তবে এবার সাংসদ কী জবাব দেন সেটাই দেখার। 

বন্ধ করুন