Sujata: একমাথা সিঁদুর, ভিডিয়ো দেখালেন সুজাতা, আবার বিয়ে করলেন?নেটপাড়ায় প্রশ্ন

তিনি সৌমিত্রর নির্যাতন প্রসঙ্গে সুজাতা জানিয়েছিলেন, আমি এতটাই অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছিলাম যে রাত তিনটের সময় আমি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরের দিন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন।

সুজাতা মণ্ডল। সৌজন্য় ফেসবুক

সুজাতা মণ্ডল। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে এক সঙ্গেই উচ্চারিত হত সুজাতা-সৌমিত্র। তবে  সেসব সোনালি অতীত। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলেছিল। সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। তার মধ্যেই সামনে এল সুজাতা মণ্ডলের নয়া রিলস। সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে তুই যে নয়ণের আলো…তুই ছাড়া লাগে না যে ভালো। তুই যে আমার সাত রাজার ধন। একেবারে আবেগে ভাসছেন সুজাতা। একমাথা সিঁদুর। নাকে কিছুটা সিঁদুর গিয়ে পড়়েছে। হাতের আঙুলে লালের ছোঁয়া। কপালে লাল টিপ। এক ঝলক দেখলেই যেন মনে হচ্ছে বিয়ের সাজে বসে রয়েছেন সুজাতা। 

এদিকে অনেকেই লিখেছেন দিদিভাই আবার বিয়ে করলে নাকি? অনেকে আবার লিখেছেন, আবার কি বিয়ে হয়েছে তোমার? একজন লিখেছেন দাদাকে খুবই মনে পড়ছে জানি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তোমাদের দুজনের সংসার আবার এক হয়ে যাক। অপর একজন লিখেছেন, দাদাকে আবার আপন করে নাও বৌদি। নানা প্রশ্ন ভাসছে নেট দুনিয়ায়। তবে কি আবার বিয়ে করছেন সুজাতা মণ্ডল? তারই কি প্রি ওয়েডিং ছবি? 

এসব প্রশ্ন ভাসছে নেটপাড়ায়।

এদিকে সম্প্রতি সুজাতা মণ্ডল একের পর এক তির ছুঁড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'রক্ষিতা বিধবার দৌলতে আগামী দিনে জুটবে না পরনে কাছা, তাই এমপি বুঝেশুনে মরণের আগেভাগেই গলায় দিয়েছে গামছা। আগে আগে দেখো ইয়ে পাগল কা হোতা হ্য়ায় ক্যায়া।'

এরপরই সুজাতার পোস্ট, 'একজন বদ্ধ পাগল, মাতাল, চরিত্রহীন, লম্পট, শিলিগুড়ির বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে ফূর্তি করা, তারকাটা, দলবদলু, দুর্নীতিগ্রস্ত, ধান্দাবাজ, অন্যের ঘাড়ে চেপে শেষবারের মতো জেতা, এমপি বিষ্ণুপুরের বুকে গলায় গামছা নিয়ে হুমকি প্রমাণ দিচ্ছে যে তার সময় শেষ হয়ে এসেছে। আর মাত্র কয়েকটা মাস তারপরই তার নামে বলো হরি হরি বোল…বলে পাবলিক তাকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে দেবে। 

এখানেই থেমে থাকেননি সুজাতা। এর আগে তিনি সৌমিত্রর নির্যাতন প্রসঙ্গে সুজাতা জানিয়েছিলেন, আমি এতটাই অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছিলাম যে রাত তিনটের সময় আমি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরের দিন আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। আমার কাছে সেটাই ছিল বাঁচার লড়াই। আমি না থাকলে সৌমিত্র খাঁ আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে সেখানে যেতে পারতেন না। পায়ে সেপটিক নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করেছি।কিন্তু এখন একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এবার সেই সুজাতাকেই দেখা গেল সুখের সাগরে ভাসছেন। অন্তত রিল দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে অনেকের।