সৌমিত্র-সুজাতা। ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক থেকে পরস্পরের মধ্যে এখন যোজন দূরত্ব। সেই সুজাতাই এখন নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন। এমন ইঙ্গিত তিনি নিজেই দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই সৌমিত্রর নাম শুনলেই ব্যাটে বলে কার্যত ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তিনি জানিয়েছিলেন, বাকী জীবনটা পড়ে রয়েছে। শুভকাজে দেরি করতে নেই। সবটাই জানতে পারবেন। কিন্তু কবে তিনি নতুন জীবনে প্রবেশ করবেন, কবে সেই শুভক্ষণ তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।
তবে সৌমিত্র খাঁ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। সৌমিত্রকে বার বার তিনি লম্পট বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর অতীত রাজনৈতিক সংগ্রাম, সৌমিত্র খাঁকে সাংসদ হিসাবে জিতিয়ে আনার জন্য় তিনি কী ভূমিকা নিয়েছিলেন সেকথাও তিনি তুলে ধরেন। তবে এবার প্রশ্ন আসন্ন শুভদিনে তিনি কি সৌমিত্র খাঁকে আমন্ত্রণ জানাবেন?
সেই প্রশ্নের উত্তরে সুজাতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জীবনে সেই শুভক্ষণ উপস্থিত হলে তিক্ততার থেকে দূরে থাকাই ভালো। সকলের জীবন দর্শন সমান নয়। অনেক সময় দেখা যায় দুজন মানুষের মধ্য়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মতের অমিল হলে তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সম্পর্কে ভদ্রতা থাকে। কিন্তু যে সম্পর্কে চরম অভদ্রতা, চরম বেইমানি, লাম্পট্য সহ্য করে প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে আসতে হয় সেই মানুষটাকে কি জীবনের সুখের মুহূর্তে কেউ এন্ট্রি দিতে চাইবে?
মোটের উপর সুজাতার জীবনে সৌমিত্রর যে আর কোনও ঠাঁই নেই তার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুজাতা। কিন্তু সুজাতা কি সৌমিত্রর কাছ থেকে খোরপোষের কোনও দাবি করেছেন? এনিয়ে তিনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, আমি কোনও খোরপোষ চাইনি। শুধু এই বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি।
আসলে সম্পর্কের তিক্ততা এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে সৌমিত্রকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়ছেন সুজাতা। তিনি জানিয়েছেন, প্রচন্ড গরমে পায়ে ফোস্কা পড়ে যেত সেই অবস্থায় বাঁকুড়ায় ওর জন্য প্রচার করেছিলাম। আর তার প্রতিদান পেয়েছি আমি। আমি প্রচন্ড প্রতিকূলতার মধ্যে প্রচার করতাম আর সৌমিত্র তখন ঠান্ডা ঘরে বসে থাকত। এতটা বুঝতে পারিনি।
তবে ইতিমধ্যেই তিনি সমাজমাধ্যমে বধূ সাজে রিলস বানিয়েছেন। অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। তবে এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আমি বিষাক্ত মানুষদের কোনওভাবেই জীবনে এন্ট্রি দিতে চাই না।