কলকাতা হাই কোর্টের থেকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ সিবিআইয়ের করা মামলায় 'কালীঘাটের কাকু'কে জামিন দেয়। এর আগে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। এই আবহে আপাতত বাড়িতে যেতে পারবেন কালীঘাটের কাকু। আদালত জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতা এবং মানবিক কারণে জামিন দেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে। হাই কোর্ট জানিয়েছে, দু’টি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণের এনজিওপ্লাস্টি দরকার। (আরও পড়ুন: হঠাৎই বদলে যাবে আবহাওয়া, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু হবে টানা বৃষ্টি)
আরও পড়ুন: রাজধানী না বনগাঁ লোকাল, ধরতে পারবেন না, হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনে 'পটনা আতঙ্ক'
আরও পড়ুন: দেশে ফেরার বার্তা হাসিনার, ডেভিল হান্ট অভিযান নিয়ে ইউনুস সরকারকে তোপ
এদিকে জামিনের ক্ষেত্রে সুজয়কৃষ্ণকে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। আদালত জানিয়েছে, আপাতত সিবিআই সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির ওপরে নজরদারি চালাবে। এমনকী এর জন্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এদিকে চিকিৎসার জন্যে অন্য কারও সঙ্গে দেখা করা যাবে শুধু। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করায় বারণ আছে কালীঘাটের কাকুর জন্যে। এদিকে সুজয়কৃষ্ণের ২টি মোবাইল নম্বর দিতে হবে সিবিআইকে। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেই পর্যন্ত এই সব শর্ত বলবৎ থাকবে। (আরও পড়ুন: পরীক্ষা আধা যেতে না যেতেই প্রশ্নফাঁস নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল নানা দাবি, মুখ খুলল বোর্ড)
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মুজিবের বাড়ি ভাঙার দায় জনতার ওপর চাপালেন বাংলাদেশি উপদেষ্টা
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অবশেষে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে সিবিআই। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কালীঘাটের কাকু বারবার আদালতে হাজিরা এড়ানোয় আটকে ছিল প্রক্রিয়া। (আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ হয় বাংলাদেশি,ধৃত ১০ অনুপ্রবেশকারী! জলপাইগুড়ির সীমান্তে পদক্ষেপ BSF-এর)
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। যে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে কালীঘাটের কাকুর সংস্থার থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস টাকা নিয়েছে তা দেওয়ার কোনও পরিকাঠামো তাদের নেই বলে দাবি সিবিআইয়ের। এমনকী বাজারদর থেকে অস্বাভাবিক বেশি দামে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের থেকে কাকুর সংস্থা পরিষেবা কিনেছে বলেও তদন্তে জানিয়েছে সিবিআই।