বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Sujit Adhikari Death: ক্যানসারে স্ত্রী'র মৃত্যুর পর সামলে নেন, ছেলেবেলায় মা-বাবা'কে হারানো সুজিতের শেষ
হাসপাতালে সুস্থ হতে এসেছিলেন। সেই হাসপাতালের কার্নিশ থেকেই ঝাঁপ দেওয়ার পর গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যু একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সুজিতের বিষয়ে কী কী তথ্য সামনে এসেছে, তা দেখে নিন -
- ছেলেবেলায় মা এবং বাবাকে হারিয়েছিলেন সুজিত। পিসির কাছেই বড় হয়েছিলেন। লরি চালাতেন। সম্প্রতি লোহার ব্যবসা করছিলেন। তাও ভালো চলছিল বলে দাবি পরিবারের। সম্প্রতি মদের প্রতি কিছুটা আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
- ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাসখানেক আগেই সুজিতের স্ত্রী'র মৃত্যু হয়েছিল। দুই সন্তানও ছিল সুজিতের। বড় ছেলের বয়স নয়। ছোটো ছেলের বয়স দুই। ছোটো ছেলেদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন সুজিত। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিলেন। দোকানেও যাচ্ছিলেন। তারইমধ্যে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এসেছিল।
- সেজন্য পিসির সঙ্গে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন সুজিত। হাসপাতালের লিফটে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আজই ছুটি দেওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের কার্নিশে ছিলেন ঘণ্টা দেড়েক, এরপর পড়লেন নীচে, বাঁচানো গেল না সুজিতকে
- তারইমধ্যে শনিবার হাসপাতালে হাসপাতালের কার্নিশে চলে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবিসম্ভবত 'বেড কি' হাতিয়ে নিয়েছিলেন সুজিত। তা দিয়েই সম্ভবত জানালার স্ক্রু খুলে কার্নিশে চলে এসেছিলেন। যদিও হাসপাতালের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- কার্নিশে আসার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ এবং দমকল। তাঁকে বুঝিয়ে নীচে আনার চেষ্টা করা হয়। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। ঘণ্টাদেড়েক পরে কার্নিশ থেকে পড়ে যান। সেক্ষেত্রে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- কার্নিশ থেকে পড়ে যাওয়ার পর সুজিতকে দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সন্ধ্যা ছ'টা ২৫ মিনিট তাঁর মৃত্যু হয়।
- সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। তবে কতদিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলার মুখ খবর