মোমিনপুর যাওয়ার পরে আটক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতাদের লালবাজারের লকআপে নিয়ে গিয়ে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দলীয় সচিব উমের রাই এবং বিজেপি নেতা আরকে হান্ডা। সুকান্তর গাড়ি চিংড়িঘাটায় আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই সুকান্ত এবং বাকি নেতাদের লালবাজারের লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সুকান্ত মজুমদার গতকাল টুইট করে লিখেছিলেন, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই উদ্বিগ্ন। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে।’ প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরে দোকান ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে গতকাল লক্ষ্মীপুজোর দিন। এরপর ইকবালপুর থানায় ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। এই আবহে আজকে সেই এলাকা পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলেন সুকান্ত। তবে মাঝ পথে বাধা পেয়ে ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। শেষে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতাদের আটক করা হয়।
অন্যদিকে শনিবার মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ‘আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী লা গণেশনকে চিঠি লিখে তাঁদের অনুরোধ করেছি যাতে মমিনপুর সহিংসতা এবং ইকবালপুর থানার লুটপাটের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই যেন এই পদক্ষেপ করা হয়।’ এর আগে গতকাল শুভেন্দু টুইটে লিখেছিলেন, ‘ইকবালপুর পুলিশ স্টেশন দখল হয়ে গিয়েছে। মমতার পুলিশ থানা ছেড়ে পালিয়েছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব কোনও কাজের না। অনুগ্রহ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে।’