আরজি করের পরে এবার কুলতলি। কুলতলিকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এবার সেই কুলতলির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি পাঠালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তার আগে তিনি জয়নগরে গিয়েছিলেন। জয়নগরের ঘটনার জেরে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। স্থানীয় মহিলারা সোমবারও এলাকায় তীব্র আন্দোলন করেছে।
কী আছে সেই চিঠিতে?
সেই চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ভয়াবহ উদ্বেগের ঘটনা হয়েছে জয়নগরে। গত ৫ অক্টোবর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর জেরে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এনিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। আপনার কাছে অনুরোধ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে একটি টিম এই জয়নগরে পাঠানো হোক। এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হোক। কেবলমাত্র তদন্তই নয়, ওই পরিবারের পাশে থাকার অনুরোধও করেছেন সুকান্ত। তিনি লিখেছেন দুষ্কৃতী তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জয়নগরের বাসিন্দারা।
তিনি লিখেছেন ৬ অক্টোবর আমি জয়নগর গিয়েছিলাম। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁরা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ধ্যার পর থেকে আতঙ্ক বাড়ছে। কারণ এলাকায় অসামাজিক লোকজন ঘুরছে। এলাকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কুলতলিতে গিয়ে ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। সিনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন যেভাবে আরজি করের ঘটনা গোটা বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেভাবেই জয়নগরের নিহত বালিকার ঘটনাও ছড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তোলা হবে।
গত শুক্রবার টিউশন থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ছাত্রীটি। পরে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয়।দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই ঘটনার পরেই সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। বিক্ষোভের পাশপাশি পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ক্যাম্পে চালানো হয়েছে ভাঙচুর। জয়নগর থানার পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শেষবার মহিষমারি হাটের একটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। সেখান থেকে বিকেল পাঁচটার সময় বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় সে।