গরুপাচারকাণ্ডে অভিষেককে ইডি জেরার দিনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেটিং তত্ত্ব উড়িয়ে তাঁর দাবি, আজই বড় কিছু হতে পারে। কিন্তু তাঁর কথা মানতে নারাজ বাম ও কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই তলব সেটিংয়ের অঙ্গ।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘ভাইপোর এখনই বড় বিপদ নেই। মোদী, দিদি জানে কখন কাকে একটু নরম দিতে হয়, একটু গরম দিতে হয়। একদম প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে দিদি আর মোদীর সমঝোতা হয়ে গেছে। তাই ভাইপোকে একটু ডেকে নিয়ে এসে নাটকটা যাতে সাজানো যায় তার চেষ্টা। বাজার পেতে ইডি - সিবিআইয়ের মাধ্যমে ভাইপোকে মিস্টার ক্লিন সাজিয়ে আবার ময়দানে নামের চেষ্টা’।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চলছে। সেই তদন্ত চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ড কাণ্ডের সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও বড় কিছু ঘটেনি। হাতে হাতে টাকা নিতে দেখার পরেও এথিকস কমিটি তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। পাচারকারীদের এতক্ষণে জেলে থাকার কথা। তারা বাইরে রয়েছে এটাই বড় কথা। এখন ২ জন ভিতরে আছেন। বাকিদের নামও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। তারাও ভিতরে যাবেন। মানুষের চাপ আছে। এদের ভিতরে যেতেই হবে’।
শুক্রবার সুকান্তবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনও বোঝাপড়া নেই সেটা আমরা বলেছি আর প্রমাণিতও হয়েছে। দিদি ঘুরে আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গেছেন। দিদির প্রিয় আদরের ভাই কেষ্ট তিনি জেলে গেছেন। বোঝাপড়া যদি থাকত তাহলে এই সমস্ত লোকেরা জেলে যেত না। আগামী দিনে আরও কিছু যাবে বলে মনে হচ্ছে। আজকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। আপনারা লক্ষ্য রাখুন’।