বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্য বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নামলেন তিনি। আর তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করে বসলেন। এখনও অনড় থাকলেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙানোর।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘আমরা পচা আলু নেব না। ভাল আলু পেলে বিবেচনা করে দেখা হবে। তবে ভাল আলু নিলে সেই আলু দিয়ে আলুর চপ বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খাওয়ানোর চেষ্টা করব।’ অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙাতে না পারলে বিজেপি বাংলায় জায়গা করতে পারবে না সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিধায়কদের ‘ভাল আলু’ বলা হচ্ছে। যদিও একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর কোনও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি। বরং উল্টোটাই দেখা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে বিজেপিতে? তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বারবারই দাবি করে থাকেন সুকান্ত–সহ বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের পচা আলুর সঙ্গে তুলনা করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপিরই জাতীয় নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যে বেশ অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির নেতাদের। কারণ মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় দলের প্রাক পুজো সম্মেলনে যোগ দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের সবাই চোর আমি বিশ্বাস করি না। আমার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জন বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ করেছেন।’ মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়েই দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।
আর কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? মিঠুনের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট সবাই পচা আলু নয়। ভাল আলু আছে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে। এখানেই চাপ বেড়েছে। তাই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ভাল আলু পেলে বিবেচনা করে দেখা হবে। যদি ভাল আলু পাওয়া যায় তাহলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সেই আলু দিয়ে চপ তৈরি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করব। কারণ উনি তো চপ শিল্প নিয়ে নানান স্বপ্ন দেখেন।’