ধরা যখন পড়ে গিয়েছেন তখন ফকির হোসেনই হতে হবে। মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে আয়কর হানায় ১৫ কোটি নগদ উদ্ধারের ঘটনায় এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার জাকির হোসেনের বাড়ি, বিড়ি কারখানা ও চালকলে একযোগে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি নগদ উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। জাকির হোসেনের দাবি, শ্রমিক ও চাষিদের বকেয়া মেটাতে রাখা ছিল ওই টাকা।
জাকির হোসেনের কাছ থেকে বিপুল নগদ উদ্ধারের ঘটনায় সুকান্তবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন শুধু তৃণমূলের নেতা-সাংসদ- বিধায়কদের বাড়িতেই যাচ্ছে। তবে এবার জাকির হোসেনের নাম বদলে ফকির হোসেন হবে। দিদির অনুপ্রেরণায় যদি আরও কিছু না জমিয়ে থাকেন তাহলে ১১ কোটির ১৩০ শতাংশের বেশি জরিমানা দিতে হবে। আমরা আশা করছি উনি আগামী দিনে ফকির হোসেনই হবেন’।
তাঁর প্রশ্ন, ‘১০০ শতাংশ সব সময় ঠিক না-ও থাকতে পারে বলে উনি কী বোঝাতে চাইছেন? তার মানে ভারতবর্ষের আইন উনি মানবেন না? ভারতবর্ষের আইনে টাকার উৎস আপনাকে বলতে হবে। উনি যদি বলতে না পারেন সেই টাকা আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করবে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের থেকে সহায়তা পাওয়া যায় না তাই CISF নিয়ে যেতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সংবিধান মেনে কাজ করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার হত না। চাষির টাকা ওনার ওখানে থাকবে কেন? আর নগদ কেন থাকবে? চাষির টাকা তো অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা। কাকে বোকা বানাচ্ছেন উনি? চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছেন। ধরা যখন পড়ে গেছেন তখন ফকির হোসেনই হতে হবে’।