জগদীপ ধনখড় তখন বাংলার রাজ্যপাল। কার্যত নিয়ম করে রাজভবনে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করে আসতেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার প্রথম সাক্ষাতে সেই রাজ্যপালের কাছেও সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবধারিতভাবে সেই নালিশের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগটি।
সব মিলিয়ে মোট ৬৩ পাতার নথি তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালে কাছে।কৃষি, শিল্পের বেহাল দশা থেকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হওয়া, বেকারত্ব, শিল্পহীন, দুর্নীতি, ভোট পরবর্তী হিংসা সহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে গোছা গোছা অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য়ও অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে এদিন কথা প্রসঙ্গে বিগতদিনের রাজ্যপালের কথা উল্লেখ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়ে দেন, আগের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে শব্দগুলি তুলে ধরা হয়েছিল সেটাও রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল পদকে নানাভাবে অসম্মান করা হয়েছে। এগুলো নতুন রাজ্যপালের জানা দরকার।
এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না। রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া দরকার তা মিলছে না। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনাচক্রে এদিনই বাংলার প্রশংসা শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। তাঁর কথায় দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বাংলা। সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যপাল বলেছেন বাংলা সিংহের মতো গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।