মঙ্গলবার বিধানসভায় সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতির সময় তাঁর গরহাজিরা নিয়ে শুরু হওয়া গুঞ্জন বুধবার নিনজা পদ্ধতিতে মোকাবিলা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী সুকান্তবাবুকে ‘আমার সভাপতি’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
বুধবার আসন নিয়ে আপত্তি তুলে রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবুর হয়ে সুর চড়ান শুভেন্দু। তিনি বলেন, মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন যদি সাংসদ হলে ডক্টর সুকান্ত মজুমদারও সাংসদ। তারা প্রথম সারিতে বসবে আর সুকান্ত মজুমদার বানের জলে ভেসে এসেছে না কি যে তিনি পিছনের সারিতে বসবেন? আপনাদের সবার থেকে সুকান্ত মজুমদারের পড়াশুনো অনেক বেশি।
এর পর রাজ্যে সরকার বদল নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা বিধায়ক ভেঙে সরকার করব না। আপনারা যে অর্থে বলছেন সরকার পরিবর্তন, আমরা ভোটে জিতে সরকার করব। আর আমি বলছি, বড় চোর ধরা পড়বে ডিসেম্বরে। আমি আমার মতো করে বললাম, আমার সভাপতি তাঁর মতো করে রাজনৈতিকভাবে বলেছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে বিধানসভায় যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তখন বিধানসভায় হাজির ছিলেন না শুভেন্দুবাবু। এর পরই শুভেন্দু - সুকান্ত দ্বৈরথ নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই জল্পনায় জল ঢালার মরিয়া চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।