শুক্রবারের উদ্বোধনী যাত্রায় গন্তব্যে পৌঁছতে মোট কুড়িটি স্টেশনে দাঁড়াবে নীল–সাদা সেমি সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি। রেলের তথ্য অনুযায়ী, এই ২০টি স্টেশনের মধ্যে অধিকাংশই উত্তরবঙ্গের স্টেশন। ফলে সূচনা যাত্রাতেই উপেক্ষিত থাকছে দক্ষিণবঙ্গ। আর এতেই বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে বৈষম্যের অভিযোগ। আর তারই মধ্যে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে চিঠি লিখলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একজন বাংলার জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করছেন চিঠিতে।
এদিকে রাত পোহালেই ৩০ ডিসেম্বর। যাত্রা শুরু করবে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উদ্বোধন করতে হাওড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ৯ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থাকার কথা। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাত্রাপথে দাঁড়ানোর কথা নিউ ফরাক্কা এবং মালদা টাউন স্টেশনে। কিন্তু আরও একটি স্টপেজ চেয়ে চিঠি পাঠানো হল রেলমন্ত্রীর দফতরে। চিঠি পাঠিয়েছেন স্বয়ং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, কবিগুরুর শান্তিনিকেতন–বোলপুর স্টেশনে স্টপেজ দিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রথম দিনে নির্ধারিত তিনটি স্টেশন অর্থাৎ বোলপুর, মালদা টাউন এবং বারসই ছাড়াও অতিরিক্ত ১৭টি স্টেশনে দাঁড়াবে বন্দে ভারত বলে রেলের দাবি।
আর সুকান্তর কী দাবি? এই বিষয়ে তিনি রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। স্টপেজ নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সারা বছর দেশ–বিদেশের অসংখ্য পড়ুয়া এবং পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসেন। এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে নেই বিমান পথে যাতায়াতের যোগাযোগ। তাই বন্দে ভারত ট্রেন বোলপুর–শান্তিনিকেতনে দাঁড়ালে মানুষ দেখতেও পাবেন। আর উপকৃতও হবেন। বোলপুর–শান্তিনিকেতনে স্টপেজ দেওয়া হলে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই মানুষ সাধুবাদ জানাবেন। রেলের দাবি, অতিরিক্ত স্টপ দেওয়ার একমাত্র কারণ সাধারণ মানুষের সঙ্গে ট্রেনটির পরিচিতি ঘটানো এবং তাঁদের চাক্ষুষ করানো। এই যুক্তির পরেও অবশ্য প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। স্টপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কি কিছুটা ব্রাত্য থেকে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ? কারণ দক্ষিণবঙ্গে হাতে গোনা কয়েকটি স্টেশনেই স্টপ ছাড়া সেভাবে আর কোথাও দাঁড়াবে না ট্রেন। তবে প্রথম দিন বোলপুরে দাঁড়াবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
আর কী লিখেছেন চিঠিতে? রেলমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির শেষে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি তথা বাংলার মানুষ হিসাবে আমার একান্ত আর্জি, বোলপুর–শান্তিনিকেতন স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হোক।’ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে সুকান্তর দাবির পর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছি। তাই প্রথম দিনে কুড়িটি স্টপেজের ভাবনা থাকছে। তার মধ্যে অবশ্যই বেশিরভাগ উত্তরবঙ্গের। তবে কমার্শিয়াল রান শুরু হলে মাত্র তিনটি স্টপেই দাঁড়াবে বন্দে ভারত। বোলপুর, মালদা টাউন, বারসই।’