টেট পাশ না করে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করার অভিযোগ ওঠায় বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলসহ তাঁর পরিবারের ৬ জনকে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ শানালেন মামলার প্রধান আইনজীবী সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গেছেন তদন্ত হলে সব সত্যি বেরিয়ে আসবে। তাই রাস্তায় নামার কথা বলছেন।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘যা হওয়া উচিত ছিল তাই হয়েছে। স্বাভাবিক নির্দেশ। যত তদন্ত হবে তত সত্য বেরোবে। সেই ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিয়ে রাস্তায় নামার কথা বলছেন’।
‘ছয় মাসে নতুন তৃণমূল’, কী বলবেন অভিষেক? ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ এখন কোথায়?
ওদিকে এই নিয়োগের দায় অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন সুকন্যাকে আদালতে তলব নিয়ে সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া চাইলে ব্রাত্যবাবু পালটা প্রশ্ন করেন, ‘কবে হয়েছে নিয়োগ?’ জবাবে সাংবাদিকরা বলেন, ‘অনেক দিন আগে।’ তখন ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘তাহলে আমি বলতে পারব না।’
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে সুকন্যাসহ ৬ জনকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবেদরকারীদের পক্ষে পেশ করা অতিরিক্ত চার্জশিটের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন তিনি। সুকন্যাসহ ৬ জনকে আদালতে হাজির করার দায়িত্ব বর্তেছে বীরভূমের পুলিশ সুপারের ওপর। টেট পাশের প্রমাণ নিয়ে আদালতে হাজির হতে হবে তাদের। নইলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিযোগ, ২০১২ সালে টেট পাশ না করেই বাড়ির পাশে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা। এর পর কোনও দিন স্কুলে যাননি তিনি। বাড়ি বসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন তুলতেন অনুব্রতর মেয়ে।