উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি বহুদিন থেকেই জানিয়ে আসছে বিজেপি। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাল বাজারে হড়পা বান প্রসঙ্গে ফের উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি উসকে দিয়েছিলেন। বিজেপির এই দাবিকে অবশ্য চক্রান্ত বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের অন্যান্য নেতারা। এ নিয়ে এবার সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে।
অতীত থেকে শিক্ষা, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সকলকেই নেবে না বিজেপি, জামাই আদর আর নয়…
তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপি বাংলার ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে চাইছে। বিহারের পূর্ণিয়া, কিশানগঞ্জ, কাটিহারের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ির অংশকে নিয়ে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে চাইছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, একুশে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। সেই ক্ষোভেই বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে উঠে পড়ে লেগেছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল তারপর থেকেই পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হয়েছে। আবারও উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন। তাই এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চলছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আন্দোলন চলেছিল। যার জেরে অশান্তি ছড়ায়। সেই সময় অবশ্য আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল রাজ্য সরকার। বিজেপি বারবার উত্তরবঙ্গকে শাসক দলের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনলেও শাসক দলের নেতাদের দাবি উত্তরবঙ্গকে কোনওভাবে অবহেলা করা হয়নি। উত্তরবঙ্গের অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এনিয়ে বিজেপির পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা উত্তরবঙ্গে আন্দোলন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।