আরজি কর কাণ্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর যখন স্বস্তির রাস্তা খুঁজছে তৃণমূল, তখন দলের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপ তৃণমূলের সঙ্গে বিচ্ছেদের দিশায় আরেকটি পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা করে কোনও কোনও মন্তব্য করেননি সুখেন্দুশেখর বাবু।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
সোমবার গভীর রাতে সুখেন্দুশেখর রায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জাগো বাংলার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এর পর থেকে তাঁর নাম যেন তৃণমূলের মুখপত্র সম্পাদক হিসাবে আর ব্যবহার করা না হয়।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গণআন্দোলনে শুরু থেকেই জনতার পাশে ছিলেন তিনি। গত ১৪ অগাস্ট রাতে রাত দখলের আন্দোলনে পথে নেমে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে যে তিনি খুশি নন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সুখেন্দুশেখরবাবু। এর পরই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তৃণমূলের। তারই মধ্যে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারি দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সুখেন্দুশেখরবাবু। এর পর তাঁকে লালবাজারে তলব করে কলকাতা পুলিশ। যদিও আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
এরই মধ্যে আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইস্তফা দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তবে জহরবাবুর পথে হাঁটতে নারাজ সুখেন্দুশেখর। তাঁর যুক্ত, পদে থাকলে বক্তব্য অনেক দূর পৌঁছবে।