সব ঠিক থাকলে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন শিখা মিত্র। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন। সূত্রের খবর, গত ১৭ অগস্ট প্রয়াত সোমেন মিত্রের বাৎসরিক কাজ ছিল। সেদিনই টেলিফোন করে শিখার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তাঁর বাড়িতে যান দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়। ওই দিনই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে নিজের সম্মতি জানিয়ে দিয়েছিলেন শিখা।
দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠন বঙ্গজননীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন শিখা মিত্র। শিখাদেবী জানিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে ফের যোগ দিতেও তাঁর অসুবিধা নেই। সূত্রের খবর, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হতে পারে শিখা মিত্রকে।
২০২০ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন ফোন করে তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই সম্পর্কের বরফ গলা শুরু হয়। এমনকী সোমেন মিত্রের প্রয়াত হওয়ার পর সহযোগিতার হাত বাড়ায় রাজ্য সরকার। আবার একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে শিখা মিত্র চৌরঙ্গি কেন্দ্রে দাঁড়াতে অস্বীকার করায় খুশি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই হ্যাট্রিক করেই শিখাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদ হন সোমেন মিত্র। আর তাঁর স্বামীর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে শিখাকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে অধুনা বিলুপ্ত শিয়ালদহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন শিখা। ২০১১ সালে চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন তিনি। তবে দীর্ঘ সাত বছর পর রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন হতে পারে শিখার।